শিউলিমালা একাডেমি

নরমাল সময়ে মুসলিম মানস: অস্তিত্ব ও গতিশীলতা সমাজভাবনা ও মুক্তির বাতায়ন

জীবনে চলার পথে আপনাকে আপনার চারপাশে জড়িয়ে থাকা বিভিন্নরকম সম্পর্কগুলোকে বিভিন্নভাবে ডিল করতে হয়। যেমন- কাজের জায়গায় আপনার সহকর্মীদের সাথে একরকম সম্পর্ক, ছাত্র হিসেবে সহপাঠীদের সাথে একরকম সম্পর্ক, আত্মীয়তার ক্ষেত্রে অন্যরকম সম্পর্ক, সন্তানের সাথে একরকম সম্পর্ক, পিতামাতার সাথে একরকম ইত্যাদি। পোস্ট-নরমাল সময়ে এই সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে ব্যক্তির অবস্থান ক্রমান্বয়ে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে এবং সেগুলো মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়া এবং একই সাথে প্রতিটি সম্পর্ক ঠিক রাখা নিয়ে মানুষ জটিলতায় ভুগছে।

ফিগমুন্ড বাউম্যান পোস্ট-নরমাল সময়ের লিকুইডিটি নিয়ে যখন কথা বলছেন, তিনি লিকুইড ফিয়ার (Liquid fear) নিয়েও বলেছেন। যার মানে হলো আমরা প্রতিনিয়ত যে ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তা বিভিন্ন উৎস থেকে আসছে। যেমন, আমরা কি সঠিক পেশা পছন্দ করছি কিনা, সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করছি কিনা, অথবা আমাদের চারপাশের মানুষের সাথে আমরা সঠিক সম্পর্ক বজায় রাখছি কিনা, কিংবা আমাদের বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীদের সাথে আমাদের কেমন সম্পর্ক বজায় রাখা উচিৎ এবং সেটি আমরা কতটুকু রাখতে পারছি এসব কিছু নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত উদ্বিগ্ন থাকি, মানসিকভাবে পীড়িত হই।

আমি মনে করি পোস্ট-নরমাল সময়ে Being এবং Becoming হলো, আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং মানুষদের সাথে একটি স্থিতিশীল ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্কে পৌঁছাবার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পর্যায়ে সংগ্রাম করা, কষ্টকর ও কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। যাতে ব্যক্তিগত বা সামাজিক যেকোনো ক্ষেত্রেই হোক না কেন চারপাশে যা কিছু ঘটছে, তাতে হতবিহ্বল না হয়ে আমরা সেটিকে যথাযথ উপলব্ধি করতে পারি, সমস্যা হলে সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে পারি, সম্ভাবনা হলে কাজে লাগাতে পারি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *