শিউলিমালা একাডেমি

“ইনসানিয়্যাত, মুক্তির সংগ্রাম; প্রেক্ষিতে নারীসমাজ”

-মুহসিনা বিনতি মুসলিম

শিউলিমালা একাডেমি

প্রাচীন একটি প্রবাদ আছে- “কোনো সভ্যতার দিকে যদি তুমি তাকিয়ে দেখতে চাও, ঐ সভ্যতার সামগ্রিক অবস্থা কী; তবে ওই সভ্যতার নারীদের দিকে তাকাও। তাদের সামাজিক অবস্থান, শিক্ষা, অধিকার ও মর্যাদার দিকে তাকাও।”

সামাজিক অবস্থান আর রাজনৈতিক অবস্থানের কথা তো অনেক পরে, শুধু অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললে দেখা যায়, কোনো সভ্যতাই টিকে থাকার মতো উদাহরণ রেখে যেতে পারেনি।

রোমান, পারস্য, গ্রিক, চীনা, ইনকা, মায়া সভ্যতার দিকে তাকালে দেখতে পাই, তারা কোনো অবস্থান রেখে যায়নি। একমাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য সকল সভ্যতায় নারীদের সামাজিক কোন মর্যাদা ছিলো না। পুরুষের পাশাপাশি নারীও যে মানুষ, এই অধিকার সর্বপ্রথম ইসলামই দিয়েছে।

ইসলামী সভ্যতা এমন এক সভ্যতা, যে সভ্যতার সামগ্রিক অবস্থার সামনে অন্য কোনো সভ্যতার তুলনা করা সম্ভব নয়।পাশ্চাত্যে ১০০ বছরও হয়নি তারা নারীদের ভোটাধিকার দিয়েছে। অথচ ৩০০ বছর আগে যারা বলেছে ডেমোক্রেসি মানে অধিকার, তারাও কিন্তু কার্যত তা দেয়নি! একমাত্র ইসলাম নারীকে সত্যিকার মর্যাদা দিয়েছে।

আইয়ামে জাহিলিয়াত কে বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাই সকল ধরনের জুলুমের সাথে নারীদের উপরও ছিল ভয়াবহ জুলুম। জীবন্ত কবর দেওয়া, দাস হিসেবে বিক্রি করা, অধিকার ও সম্মান বিবর্জিত তুচ্ছ পণ্য বানিয়ে রাখা এসব ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ইসলাম এসে মুক্তি দিল।

দ্বীনকে পূর্ণতার আয়াতঃ 

اليوم اكملت……

নাযিল হওয়ার পরপরই আল্লাহর রাসূলের শেষ ভাষণ, বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে প্রথমত বলেন, শিরক করো না।

দ্বিতীয়ত, অন্যায়ভাবে হত্যা করোনা।

তৃতীয়ত, সুদ থেকে বিরত থাকো।

চতুর্থত বলেন, তোমরা নারীদের সাথে সদ্ববহার করো।

নারী ইস্যু কতটা গুরুত্বপূর্ণ হলে যে দিনে দ্বীনকে পরিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলো সেদিন সেই ভাষণেই সুদের পরেই নারীদের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে!

কতটা গুরুত্বারোপ করেছেন! এটি আল্লাহর রাসূলের (সাঃ) অনেক কষ্টের ফসল। এতগুলো সভ্যতার বিপরীতে, গ্রামের মতো অঞ্চলে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। 

ইসলামী সভ্যতার নারীদের দিকে যদি তাকাই, প্রথমেই বলতে হয় সেই আলোকোজ্জ্বল দিপ্তীময়ী মানবীর কথা- হযরত আয়েশা (রা); যিনি একাধারে ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম, ফকিহ, মুফাসসির, অনলবর্ষী বক্তা। গোটা মদিনাকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করেছিলেন। বড় বড় যালিলুল ক্বদর সাহাবীরা তাঁর কাছে পড়তেন।

 হযরত আবু বকর (রা) এর কবরের সামনে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ যা আজও আমাদের উজ্জীবিত করে। আজও আমাদের এক নতুন দিগন্তের রেখা উন্মোচিত করার দিকে ধাবিত করে। তিনি ছিলেন রাসুলের (সাঃ) পরামর্শদাতা, বুদ্ধিজীবী। এক যুদ্ধের সেনাপতিও ছিলেন। 

যদিও তাঁকে আমরা শুধুমাত্র প্রসিদ্ধ রাবী, উম্মুল মু’মিনীন এবং পর্দানশীল নারী হিসেবেই বেশি চিনি!

উম্মে সালামা (রাঃ) রাসুলের (সাঃ) কূটনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। এভাবেই তাঁরা একেকজন একেক ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন।

এঁদেরই ধারাবাহিকতায় ইসলামী সভ্যতায় নারী স্কলার উঠে আসতে থাকে। রাষ্ট্র থেকে নারীদের সাইকোলজি পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে এ সভ্যতা কতদূর এগিয়ে ছিল তা ইবনে জাওযিয়ার ‘আহবারুন নিসা’ বইটি পড়লেই বুঝা যায়। 

সাহাবী পরবর্তী সময়ে উমাইয়া, আব্বাসীয়, উসমানীয়, আন্দালুসিয়ার সালতানাতে এমন কোন ঘর থাকতো না যেখানে নারী আলেম ছিলনা। আলেম, অর্থনীতিবিদ, পররাষ্ট্রনীতিবিদ, মুহাদ্দিস, কালামবীদ এভাবে করে জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সেসব ইতিহাস আমাদের সামনে আসছে না। যদিও বিভিন্ন ইতিহাসে আমরা আলেমের জায়গায় হাফেজ লাগিয়ে শেষ করে দেই!!

 কর্ডোভায় নারী আলেম যে ঘরে আছে, সে ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে বলা হলে পুরো শহর আলোকিত হয়ে যেতো। 

তিউনিসিয়ার ফাতিমা আল ফিরহী ৮৫৯ খ্রীস্টাব্দে ইসলামী সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন মরক্কোতে। জ্ঞানের লেভেল কত উচ্চ হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা ও সাহস আসে!

তাতারীদের হাতে বন্দী হওয়া মুসলিম নারীদের জ্ঞান ও আখলাকের বদৌলতে তাতারী সমাজ পুরোটাই মুসলিম সমাজে পরিনত হয়!

বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতাকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চাকরি থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান দেখা গেলেও নেই সত্যিকারের মর্যাদা। নির্যাতন, অবহেলা স্মরণ করিয়ে দেয় সেই জাহেলী যুগ। 

এখনো শুধুমাত্র বাংলাদেশে পাঁচ লক্ষ নারী পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি করে, ৭০% নারী শিক্ষা বঞ্চিত, বাংলাদেশ থেকে ২ লক্ষ ৬০ হাজার নারী শ্রমিক শুধু সৌদি আরবে বিক্রি হয়েছে সাড়ে তিন বছরে। তন্মধ্যে নারী শ্রমিকের লাশ এসেছে প্রায় সাড়ে তিনশো। তাদের মধ্যে ৫৩ জনই আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। অসহনীয় নির্যাতন বর্তমানে বেড়েছে ১৭ গুণ। গার্মেন্টসে এখনো নারীশ্রমিক দিনে ৮-১০ ঘণ্টা কাজ করছে। ৪৬ শতাংশ নারী পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। ২০১৯ সালে ধর্ষণের শিকার হন ১৪১৩ জন নারী। তন্মধ্যে তিন বছরের শিশুও বাদ যায়নি। ঘরোয়া নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ৭৯৪ জন নারীর।

নারীর মুক্তি, অধিকার, সম্মান, মর্যাদা, নিরাপত্তা আজ কোথায়?

সূরা বালাদে মহান আল্লাহ অর্থনীতির ফিলোসোফি বর্ণনা করেছেন। এই ফিলোসোফি যদি জানতাম তাহলে অবশ্যই বুঝতাম, এখানে শুধু ব্যক্তিগত ভাবে দু-চারজন মানুষ খাওয়ানোকে মুক্তির পন্থা হিসেবে বর্ণনা করা হয়নি!পৃথিবীর মুক্তি হবে একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যেখানে সুদ বেড়ে যায় সেখানে ব্যভিচার বেড়ে যায়। 

বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় সুদ ভিত্তিক মহা জুলুমপূর্ণ অবস্থা বিদ্যমান। ফলশ্রুতিতে ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডের মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশগুলোতে নারীদের আয়ের অন্যতম উৎস হলো এরা ইউরোপের দেশগুলোতে গিয়ে পতিতাবৃত্তি করে! 

আমাদের বোনেরা এভাবে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে শুধুমাত্র পরিবারকে ভালো রাখার জন্য।সেসব বোনেরা অধিকাংশই ইসলাম সম্পর্কে জানে না! আত্মপরিচয় উপলব্ধি করতে ব্যর্থ। দরদমাখা আহ্বানে তাদের সামনে ইসলামে নারীর মুক্তি, অধিকার, মর্যাদা তুলে ধরার মতো কেউই নাই। 

আজ স্বর্নালী সভ্যতার ইতিহাস আমাদের সামনে নাই, যা আছে তাও রূপকথার গল্পের মতো! নির্যাতিতার আর্ত চিৎকারে কারো বুকে এখন আর কাঁটা বিঁধে না; এমন কোন শাসক নেই যার কাছে অপহরণকৃত নারী খবর পৌঁছাতে বলবে, শুধু আমার এ খবর পৌঁছে দিও, আর সাথে সাথে সেনাবাহিনী পৌঁছে যাবে উদ্ধার করতে।

যখন মুসলিমদের পতন হলো, তখন বৃটিশরা আমাদের অঞ্চলে, ইটালিয়ান আর ফরাসিরা আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে কলোনী গড়লো। বিভিন্ন সালতানাত ভেঙে রাষ্ট্র হলো, অভ্যন্তরীণ সমস্যার সৃষ্টি করে বৃটিশরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করলো। তারা যেসকল বিষয়ে ফোকাস করেছিলো, তার মধ্যে অন্যতম ছিলো শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দেয়া। এই উপমহাদেশে প্রচুর ইন্সটিটিউট ছিলো যার বিল্ডিংগুলো পর্যন্ত মাটির নিচ থেকে উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ আলেমকে হত্যা করেছে। কোনো দাঙ্গা হাঙ্গামা ছাড়াই আটশো বছর শাসনকালের কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। মাত্র ২০% জনগোষ্ঠী গোটা উপমহাদেশ শাসন করেছে, তখন তারা ২৯% জিডিপি নিয়ন্ত্রণ করেছে। সেখানে বর্তমানে আমেরিকা নিয়ন্ত্রণ করছে ২১% জিডিপি।

নির্দিষ্ট দুইশো বছর যাবৎ আমরা এসব পাচ্ছিনা! এগুলো নিয়ে কোনো গঠনমূলক আলোচনাও নাই!!

উসমানী সালতানাত ৬০০ বছর গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি ছিলো। এদের আলি চেলেবী, দ্বিতীয় ইবনে খালদুনদের মতো স্কলাররাই আমাদের সামনে আসেনা, চিনি না।এখনো সেসকল অঞ্চলের মরক্কো, বসনিয়া, তার্কির দার্শনিক, স্কলারদের আমরা চিনিনা, সেখানে নারী স্কলার তো বহু দূরের কথা!! 

যার কারনে বর্তমান নারী সমাজের একশ্রেণী পুরোপুরি পাশ্চাত্যের আদলে নিজেকে গড়ে তুলছে, আরেক শ্রেণী ওরিয়েন্টালিস্টদের তৈরী করে দেওয়া হাদীসের ব্যাখ্যার আলোকে বন্দী জীবন বেছে নিয়েছে। খিলাফতের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়ে দুনিয়া নামক কিউট কারাগারে বাস করছে! চেতনায় উদ্ভাসিত হওয়ার আগেই ফতোয়া বিদ্ধ!!

এক বৃদ্ধ মহিলা ইসলাম গ্রহণের পর রাসুল (সাঃ) এর কাছে এসে জানতে চাইলেন জান্নাতে যাওয়ার উপায়, রাসুল ঐ বৃদ্ধ মহিলার অবস্থা অনুযায়ী তাকে ৪টি উপায় বলেন। আমরা সেটাকে সবার জন্য ধরে বসে আছি!

যেমন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর – خیر الناس – দ্বারা যে ব্যক্তি কোরআন পড়ে ও পড়ায় তাকে উত্তম বলেছেন, আবার এতিমের সাথে সদ্ব্যবহার করে এমন কাউকে উত্তম বলেছেন, আবার মানুষের উপকার করে, স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে এমন ব্যক্তিকেও উত্তম বলেছেন।

তাহলে, আল্লাহর রাসুল কি দ্বিমুখী ছিলেন?

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ব্যক্তির অবস্থানুযায়ী তাকে সমাধান দিতেন।

কিন্তু আজ এক শ্রেণীর আলেম নামাজ, রোজা, পর্দা, স্বামীর খেদমতের মধ্যেই নারীর জন্য ইসলামকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। তবে মনে রাখা জরুরী, এ বিষয়গুলো আবশ্যক কিন্তু যথেষ্ট নয় (খেলাফত, ঈমান, জিহাদসহ এজাতীয় আয়াতগুলি শুধু পুরুষদের জন্য নাযিল হয়নি)।

নারীরা মুহাদ্দিস, ফিকহবিদ, অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, কূটনীতিবিদ, ব্যবসা, যুদ্ধে সহযোগিতাসহ সমাজের ৪০% অবদান রেখেছেন। তবুও শুনতে হয় নারীর ব্রেইন কম, নারী দুর্বল, নারী ফিতনা!

অথচ ইমাম আবু হানিফা (রহঃ), ইমাম বুখারীর (রহঃ) মহিলা ওস্তাদ ছিলেন।

ঘর থেকে যেসকল যোদ্ধা বের হয়ে হাজারো বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন, জ্ঞানের বিপ্লব সাধন করেছেন, তাদের ইমানী চেতনা ভিত্তির কারিগরই এই নারী।

প্রেক্ষাপট ছাড়া কুরআনের মূল টেক্সট, উসুলবিহীন হাদিসের মূল টেক্সট পড়ে সবক্ষেত্রে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।নারীদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপক। এসবের জন্য ওহী ও আকলের সমন্বয় জরুরি।

চিন্তা না করলে, হাদীসের ঐ ষাট-সত্তর বছর বয়সের চিন্তাই আমাদের স্বস্তি দিবে!

কিন্তু আল্লাহর জবাবদিহিতা থেকে বাঁচার উপায়?

অতএব, নারীর সামগ্রিক মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে, স্বর্ণালী সভ্যতার ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে নারীকে তার খিলাফতের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সৃষ্টি ও সৃষ্টিজগতের আমানতদারিতা রক্ষা করতে হবে। পুরুষ একা আল্লাহর খলিফা নয়। কোরআনের কোথাও আলাদা করে বলা হয়নি যে শুধুমাত্র পুরুষদেরকেই আল্লাহ প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন।

এজন্যই প্রয়োজন হলো-

• নিজেকে সর্বপ্রথম একজন মানুষ হিসেবে, আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে চিন্তা করতে হবে।

• ইখলাস ও আখলাকের সমন্বয়ে মুক্তির সংগ্রামে অবিচল থাকতে হবে।

• ইসলামের মূলনীতি জানা, মূল উৎস ও সীরাতের আলোকে সমাধান খুঁজে বের করার মতো যোগ্য হতে হবে।

• মূলনীতি ও মডেলের মধ্যে পার্থক্য করতে আকল খাটাতে হবে। 

• কোনটা বিশ্বজনীন, কোনটা আঞ্চলিক তার পার্থক্য জানতে হবে। কোনটা ইসলামী সংস্কৃতি, কোনটা আরব সংস্কৃতি সেটা উপলব্ধি করার জ্ঞানার্জন করতে হবে।

• শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম ও সার্কেলে যুক্ত থাকতে হবে।

• ষড়যন্ত্রের মোড়ক থেকে বের হয়ে নিজেদের অবস্থানকে জানতে ও বুঝতে পারতে হবে।

এ বিষয়গুলো রিয়ালাইজ না করতে পারলে, অসহায় আর্তচিৎকার আমাদের কানের নরম পর্দা ভেদ করবেনা! মাজলুমের অভিশাপে আমাদের আকাশ ভারী হবেনা!

আয়েশা (রা), সুমাইয়া (রা), উম্মে সালামা (রা), রোজী খাতুন, জয়নব আল গাজ্জালী, সুতায়তা আল মাহমালাদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে, 

ইসলামী সভ্যতার বিজয় আনতে, রাস্তায় ঘুমানো অসহায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে, সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠায় ন্যায়ভিত্তিক অর্থনীতি, কৃষি, পরিকল্পিত নগরায়ন, ভাতের অভাবে পতিতাবৃত্তি বেছে নেওয়া মানুষের জন্য, নিজ বাসস্থানে নিরাপত্তাহীন মেয়েদের জন্য আমাদের জাগতেই হবে।

নাজিমুদ্দিন এরবাকানের ভাষায়-

“আমরা ডাঙায় জাহাজ নির্মাণ করেই যাবো, মহান আল্লাহ আমাদের পায়ের নিচে সমুদ্র এনে দিবেন।” ইনশাআল্লাহ্।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *